কম কথা বলার উপকারিতা এবং হাদিসের বার্তা!

কম কথা বলার উপকারিতা অনেক! হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘যে নীরব থাকে সে মুক্তি লাভ করে’। – সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং: ২৫০১

অতিরিক্ত কথা বলা মানুষ সম্মান পায় না। মানুষ তাকে খুব একটা পাত্তা দেয় না। দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণের নিমিত্তে স্বল্পভাষিতাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

বেশি কথা বললে সম্ভাবনা থাকে গীবতের যা জঘন্য অপরাধ। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন একে অপরের গীবত (পরনিন্দা) না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে?’ –সূরা হুজুরাত: ১২

মানসিক ভাবে শান্তি পেতে চাইলে অবশ্যই বাচালতা ত্যাগ করতে হবে। যারা অতিরিক্ত কথা বলেন তারা সবসময় অস্থিরতায় ভোগেন। তাদের মানসিক এমনকি শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন: ইসলামে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের সম্পূর্ণ নিয়ম ও পদ্ধতি!

কম কথা বলার উপকারিতা প্রসঙ্গে অন্য একটি হাদিসে এসেছে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে আল্লাহ ও পরকাল ( আখিরাত) এর ওপর ঈমান আনে সে যেন উৎকৃষ্ট কথা বলে কিংবা মৌন থাকে। (সহিহ বোখারি, হাদিস নং: ১০২)

স্থান-কাল এবং পাত্র বুঝে কথা বলা বুদ্ধিমানের পরিচয়। জিহ্বা সংযত রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে ইসলামে। যতোটুকু প্রয়োজন ততোটুকু কথা বললে মন ও মস্তিষ্ক দুটোই ভালো থাকে, এমনটাই বলা হয়েছে আমেরিকান AARP ম্যাগাজিনে।

ভেবে দেখুন, ইসলাম যা অনেক বছর আগে থেকে বলে গেছে, বর্তমান বিজ্ঞান তা প্রমাণ করছে গবেষণা করে!

ভেবে চিন্তে কথা বললে ভুল হয় কম। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, মানুষ না ভেবে এমন কথাবার্তা বলে, যার কারনে তার পদস্খলন ঘটে পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যবর্তী দূরত্ব থেকে ( সে ) বেশি দূরত্ব দোজখে গিয়ে পতিত হয়। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৭; মুসলিম, হাদিস : ৭৬৭২)

জবানের হিফাজতকারী পায় জান্নাতের নিশ্চয়তা।

সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত,  রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (অঙ্গ জিহ্বা) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (অঙ্গ লজ্জাস্থান) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৪)

কম কথা বলার উপকারিতা এবং এই সম্পর্কিত হাদিসের বার্তা নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনাদের কোন প্রশ্ন কিংবা কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে সেটি বলতে পারেন। Hadithghor এর সাথে থাকুন।আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে দ্বীন ও ঈমান ঠিক রাখার তৌফিক দান করুন। আমীন 🤲🏻

ভালো লাগলে শেয়ার করুন:

মন্তব্য করুন:

Scroll to Top