অভাব দূর হওয়ার আমল!

অভাব দূর হওয়ার আমল আমরা অনেকেই জানতে চাই। তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো অভাব দূর হওয়ার আমল, অভাব দূর করার সূরা ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া সমূহ নিয়ে।

অভাব দূর হওয়ার আমল

মহান আল্লাহ তাআলা সবাইকে সমান ভাবে রাখেন না। রিজিক সবাইকে সমান ভাবে দেননি তিনি। এর কারন হল প্রথমত উনার ইচ্ছে এবং দ্বিতীয়ত সামাজিক বৈচিত্রতা সৃষ্টি। পরীক্ষা স্বরূপ এই দুনিয়াতে সবার অবস্থান একারণেই সমান নয়।

ইরশাদ হয়েছে যে, ‘আল্লাহ তাঁর সব বান্দাকে জীবন উপকরণে আধিক্য প্রদান করলে তারা দুনিয়াতে অবশ্যই বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি ( মহান আল্লাহ) তাঁর ইচ্ছামতো যথার্থ পরিমাণে রিজিক অবতীর্ণ করেন। তিনি তাঁর বান্দাদের সম্যক অবগত হল এবং অবলোকন করেন।’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ২৭)

স্বাভাবিক ভাবেই গরিব মানুষ একটু কষ্টে থাকেন। অতিঃকষ্টে দিনাতিপাত করেন প্রচুর মানুষ।কোরআন ও হাদিসে অভাব দূর হওয়ার আমল এসেছে অনেক বেশি পরিমানে। যেমন,

আরও পড়ুন: ইসলামে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের সম্পূর্ণ নিয়ম ও পদ্ধতি

অভাব দূর হওয়ার দোয়া || অভাব দূর করার সূরা

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অধিক পরিমানে এই দোয়াটি পাঠ করবে, তার অনটন থাকবে না।

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলামা।

অর্থাৎ হে মহান আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দরিদ্রতা থেকে। এবং আপনার কম দয়া থেকে ও সম্মানহীনতা থেকে। এবং আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি— কাউকে নির্যাতন করা থেকে অথবা কারও দ্বারা জুলুম হওয়া থেকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫৪৪)

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

সুরা নুহ-এ মহান আল্লাহ তায়ালা তার বাধ্যগত ও অতিঅনুগত বান্দাগনের রিজিকে বরকত লাভের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,

১০) ফাকুলতুছতাগফিরূ রাব্বাকুম ইন্নাহূকা-না গাফফা-রা-।

১১) ইউরছিলিছ ছামাআ ‘আলাইকুম মিদরা-রা-।

১২) ওয়া ইউমদিদকুম বিআমওয়া-লিওঁ ওয়াবানীনা ওয়া ইয়াজ‘আল্লাকুমজান্না-তিওঁ ওয়া ইয়াজ‘আল্লাকুম আনহা-রা-।

‘অতঃপর বলেছি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা যাচনা করো। নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। (তোমরা যদি এটা করো) তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান সৃষ্টি করবেন এবং প্রবাহিত করবেন নদীনালা।’ (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২)

অভাব দূর হওয়ার আমল এবং ইস্তেগফার

বেশি বেশি ইস্তেগফার করবেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— ‘যে ব্যক্তি নিয়ম করে(সর্বদা) ইসতেগফার করবে (আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি) মহান তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৮ )

আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ : ‘আমি আল্লাহর( পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ পাক সুবহানাহু তায়ালা ) কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া নেই কোন ইবাদতের উপযুক্ত উপাস্য। যিনি অমর ও অবিনশ্বর (চিরস্থায়ী) আমি তাঁর কাছেই ক্ষমা যাচনা করছি।

ইসলামে অভাব দূর হওয়ার আমল তথা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া সমূহ নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনাদের কোন প্রশ্ন কিংবা কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে সেটি বলতে পারেন। Hadithghor এর সাথে থাকুন।আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে দ্বীন ও ঈমান ঠিক রাখার তৌফিক দান করুন। আমীন 🤲🏻

ভালো লাগলে শেয়ার করুন:

মন্তব্য করুন:

Scroll to Top